ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলায় নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশটির ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ বিক্ষোভ। হাজারো মানুষ এতে অংশ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ ফিলিস্তিন সংগঠনের উদ্যোগে সংসদ ভবনের সামনে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ অংশ নেন। বিক্ষোভে দেশটির অর্ধশতাধিক সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবতাবাদী সংগঠন যুক্ত হয়। এছাড়া আশপাশের কয়েক শত প্রবাসী বাংলাদেশিও সমাবেশে যোগ দেন।
অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল ইসলামিক ফোরাম অব আফ্রিকা, ইখওয়ান মুসলিমিন দক্ষিণ আফ্রিকা, ইসলামিক সার্কেল অব সাউথ আফ্রিকা (ইকসা), দক্ষিণ আফ্রিকা উলামা অ্যাসোসিয়েশন, মিশর কমিউনিটি, দক্ষিণ আফ্রিকার জুইশ অ্যাসোসিয়েশন, তুরস্ক, সোমালিয়া ও ইথিওপিয়া কমিউনিটি এবং দেশটির ক্ষমতাসীন এএনসি দল।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে স্লোগান দেন— “আইডিএফের মৃত্যু”, “ফিলিস্তিনকে মুক্ত করুন”, “শিশু হত্যা বন্ধ করুন” এবং “শিশুদের অনাহারে রাখা বন্ধ করুন”।
মুসলিম আইনজীবী পরিষদের সভাপতি শেখ রিয়াদ ফাতার বলেন,
“কেপটাউন আজ গাজা ও ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এটি কেবল মুসলিমদের বিষয় নয়, এটি মানবতার বিষয়। আমরা দেখছি, বিশ্ব এখন ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াচ্ছে।”
ডাচ সংস্কারকৃত গির্জার ধর্মগুরু, রাজনীতিবিদ ও বর্ণবাদবিরোধী কর্মী ড. অ্যালান বোয়েসাক বলেন,
“আজ আমরা হাজারো মানুষ এখানে যে সংহতি প্রকাশ করছি, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
বিক্ষোভকারীরা সংসদের একজন প্রতিনিধির কাছে তাদের দাবি-সম্বলিত একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
এর আগে সম্প্রতি দেশটির রাজধানী প্রিটোরিয়া, পোর্ট এলিজাবেথ ও জোহানসবার্গের ফোজসবার্গসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে ফিলিস্তিন সমর্থনে বিক্ষোভ করেছে এএনসি ও অন্যান্য রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন।
একুশে সংবাদ/এ.জে