১লা সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় বসন্তের প্রথম দিন (স্প্রিং ডে) হিসেবে উদযাপন করা হয়। এই দিনে মানুষ কেক কেটে খায়, ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে, দাড়ি-মাথা কামায় এবং বিভিন্ন আনন্দময় অনুষ্ঠান পালন করে। বিভিন্ন শহর ও গ্রামে শিশু এবং যুবক-যুবতীরা একে অপরের উপর পানি ছিটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে।
দক্ষিণ আফ্রিকা চার ঋতুর দেশ। এখানে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বসন্তকাল চলে। শীতের শুষ্কতাকে বিদায় জানিয়ে প্রকৃতিকে নতুন রূপে সাজানোই বসন্তের প্রথম দিনের মূল আকর্ষণ।

এই দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রকৃতি নতুন রূপে সেজে ওঠে। গাছের নতুন পাতা গজায়, বিভিন্ন প্রকারের ফুল ফুটতে শুরু করে। বাতাসে মিষ্টি ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে, যা মনোরম পরিবেশ তৈরি করে। বসন্তকে ভালোবাসার ঋতু হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
বসন্ত একটি সুন্দর ও প্রাণবন্ত ঋতুর আগমনের বার্তা বহন করে। কেপটাউনসহ দেশটির বিভিন্ন শহর ইতিমধ্যেই ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। বিশেষ করে কেপটাউনের পর্বতশৃঙ্গে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যফুল ফুটেছে, যা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। ব্রেডাসডর্প ও এর আশপাশের এলাকা ফুল ফোটার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এখানে প্রচুর বন্যফুল ফুটে এবং আরও অনেক প্রজাতির ফুল দেখা যায়। তাই এই অঞ্চলকে ‘বন্যফুলের রাজধানী’ (Wildflower Capital) হিসেবে অভিহিত করা হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার বসন্ত সাধারণত দক্ষিণ গোলার্ধের শীতকালের পর আসে। এই দিনে রৌদ্রোজ্জ্বল ও শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে, যা ভ্রমণের জন্য অত্যন্ত মনোরম। বসন্তের আগমনে মানুষের মন ও প্রকৃতিতে নতুন আনন্দের সঞ্চার ঘটে। তাই বসন্তের প্রথম প্রহরে সবাইকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
একুশে সংবাদ/এ.জে