বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক গ্লোবাল বিজনেস অ্যান্ড সিএসআর অ্যাওয়ার্ডস-২০২৫ পেলেন মালদ্বীপ প্রবাসী সাংবাদিক মো. ওমর ফারুক খোন্দকার। বেস্ট জার্নালিস্ট (ইন্টারন্যাশনাল নিউজ) ক্যাটাগরিতে তিনি এই পুরস্কার লাভ করেন।
শুক্রবার (৩০ মে) রাতে রাজধানী ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে মো. ওমর ফারুক খোন্দকারের হাতে এ পদক তুলে দেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)-এর চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া ও কমিউনিকেশন অব বাংলাদেশ (কব)-এর চেয়ারম্যান মো. গোলাম ফারুক মজনু।
উক্ত অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন এশিয়ান জার্নালিস্ট হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ও গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম অব বাংলাদেশ। এর মিডিয়া পার্টনার ছিলেন চ্যানেল আই। এ সময় টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর, অভিনেত্রী রুনা খান, সাদিয়া আয়মান, মডেল পিয়া জান্নাতুল, ব্র্যান্ড প্রমোটার বারিশা হকসহ ৫১ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এছাড়াও সংগীত ও শিল্পাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস আরা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোজিনাসহ বেশ কয়েকজন গুণী ব্যক্তিত্বকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এর আগে উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে কমিউনিকেশন অব বাংলাদেশ (কব)-এর চেয়ারম্যান মো. গোলাম ফারুক মজনু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য ১০টি গুরুত্বপূর্ণ করণীয় বিষয় তুলে ধরেন, যা নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
১. শিল্প ও উৎপাদন খাতে বৈচিত্র্য; গার্মেন্টস-এর বাইরে আইটি, ফার্মাসিউটিক্যালস, লেদার ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বাড়ানো।
২.কৃষি খাতে আধুনিকায়ন প্রযুক্তিনির্ভর চাষ, উন্নত সেচ ব্যবস্থা ও কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে গুরুত্ব।
৩.মানবসম্পদ উন্নয়ন; কারিগরি শিক্ষা বিস্তার ও গ্লোবাল মার্কেট উপযোগী মানবসম্পদ গড়ে তোলা।
৪.উদ্যোক্তা ও এসএমই সহায়তা; ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণ,প্রশিক্ষণ এবং নারীদের জন্য বিশেষ সহায়তা।
৫. ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন;ই-কমার্স, ফিনটেক, এডুটেক এবং আইটি এক্সপোর্ট বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রযুক্তিনির্ভর অবকাঠামো গঠন।
৬.বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ;ব্যবসাবান্ধব নীতি, দুর্নীতি দমন ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে FDI বাড়ানো।
৭.পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন;আন্তর্জাতিক মানের নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পর্যটন অবকাঠামো গড়ে তোলা।
৮.দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা; জবাবদিহিতা ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
৯.বাণিজ্যিক অবকাঠামো ও পরিবহন; পদ্মা সেতু, রেলপথ, মেট্রোরেল প্রভৃতি মেগা প্রকল্পগুলোর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
১০.জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে টেকসই বিনিয়োগ; নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন।
অনুষ্ঠানের শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, যেখানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। দেশপ্রেম ও উন্নয়নের আহ্বান নিয়ে এ আয়োজন ছিল এক অনন্য উদাহরণ, যা বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় নবতর উদ্দীপনা যোগাবে।
একুশে সংবাদ /ম.প্র/এ.জে