কিছু রাজনৈতিক দল সচেতনভাবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করছি যেন একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হয়। তবে হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করছি— কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের সময়সূচি পিছিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমানে একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের ওপর নির্ভর করছে। দ্রুত একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করা জরুরি।”
বিএনপি মহাসচিব জানান, দলের সংস্কার প্রক্রিয়া কোনো নতুন বিষয় নয়। ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষিত ১৯ দফা কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বিএনপি সবসময় রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পক্ষে কাজ করেছে।
“খালেদা জিয়া ভিশন–২০৩০ উপস্থাপন করেন ২০১৬ সালে। পরে ২০২২ সালে তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের ধারাবাহিকতাতেই বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কারের রূপরেখা গঠিত হয়েছে,” বলেন তিনি।
ফখরুল দাবি করেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, নারীর শিক্ষা ও কর্মসংস্থান— এই সবকিছুই বিএনপি সরকারের অবদান। অথচ বিএনপিকে ‘ভিলেন’ বানানোর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু ইতিহাস তাকে মুছে দিতে পারেনি। তিনি ছিলেন আল্লাহপ্রদত্ত ক্ষণজন্মা নেতা।”
তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, “তিনি এখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পুনর্গঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও প্রকাশনা উপকমিটির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন।
এতে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর পাভেল, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরীসহ অন্যরা।
একুশে সংবাদ/এ.জে