আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘জুলাই সনদ’-এর ভিত্তিতে আয়োজন করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একইসঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাবকে তারা ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বলে জানিয়েছে দলটি।
বুধবার (৬ আগস্ট) ঢাকার মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। এই সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ঘোষণাপত্র এবং প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে দলটির আনুষ্ঠানিক অবস্থান তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তাহের বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্রকে আইনি ভিত্তি দিয়ে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই দলিলটি শুধু বক্তব্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আইনগত কাঠামোর অংশ করতে হবে, যাতে এটি কার্যকর হয়।”
তবে এই ঘোষণাপত্র তৈরিতে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শের ঘাটতির বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। তাহের বলেন, “যদি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই ঘোষণাপত্রটি প্রকাশ করা হতো, তবে তা আরও গ্রহণযোগ্য হতো।”
প্রধান উপদেষ্টার ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, “আমাদের আমির আগেই বলেছেন—নির্বাচন রমজানের আগেই অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। প্রধান উপদেষ্টাও সেই পথেই অঙ্গীকার করেছেন। এটা একটি ইতিবাচক সংকেত।”
প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) পদ্ধতির বিষয়ে দলের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তাহের বলেন, “আমরা মনে করি, একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য PR পদ্ধতি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে পারে। গত ৫৪ বছর ধরে চলে আসা নির্বাচনী পদ্ধতি বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খায় না—রাতের অন্ধকারে ভোটকেন্দ্র দখল কিংবা জালিয়াতি তারই উদাহরণ।”
একুশে সংবাদ/জা.নি/এ.জে