বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এমন একটি বিচার বিভাগ গঠনের লক্ষ্যে তারা সংগ্রাম করছেন, যা হবে পুরোপুরি স্বাধীন, নির্বাহী ও সংসদের ওপর একটি রক্ষাকবচ এবং জাতির অভিভাবক হিসেবে কাজ করবে।
বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দিনব্যাপী বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি সুপ্রিম কোর্ট চাই, যা বাস্তবিক অর্থে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হবে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তিনটি প্রধান প্রতিষ্ঠানের অন্যতম হিসেবে কাজ করবে এবং জনগণ শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে আদালতের ওপর আস্থা রাখতে পারবে— যেটা অতীতে দেখা যায়নি।”
রাষ্ট্রপতির প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতার বিষয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, বর্তমান সংবিধানে রাষ্ট্রপতি নিজ ক্ষমতায় প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করতে পারেন। আমরা এমন একটি বাধ্যবাধকতা আনতে চাই, যেখানে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসরণ করতে রাষ্ট্রপতি বাধ্য থাকবেন। এ বিষয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই একমত, মাত্র দুটি দল ভিন্নমত পোষণ করেছে।
বিচারকদের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নিয়োগের প্রশ্নে সব দলই একমত জানিয়ে তিনি বলেন, সঠিক প্রক্রিয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হলে, আগের সরকারের আমলে যে পদ্ধতি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল, তা থেকে সরে আসা সম্ভব হবে।
নারী সংরক্ষিত আসন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি এবং আরও অনেক রাজনৈতিক দল সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করার পক্ষে মত দিয়েছে। এটি বর্তমান পদ্ধতিতেই হতে পারে, আবার সরাসরি নির্বাচনের বিষয়েও প্রস্তাব এসেছে, যা নিয়ে আরও আলোচনা হবে।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের ধারণা প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিএনপি একশ আসনবিশিষ্ট উচ্চকক্ষের প্রস্তাবকে সমর্থন করে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলও এ বিষয়ে ইতিবাচক মত দিয়েছে, যদিও কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। নির্বাচন পদ্ধতি ও কাঠামো নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলে তা `জুলাই সনদে` অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আলোচনার কাঠামো ও ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে আরও কিছু সময় লাগতে পারে বলেও মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে