রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টায় জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’। বিএনপির ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে এই সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই রাজধানীসহ সিলেট, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে জমায়েত হতে থাকে।
সমাবেশস্থলে ছিলো উৎসবমুখর পরিবেশ। কারও হাতে দলীয় পতাকা, কারও হাতে ব্যানার ও ফেস্টুন, আবার কেউ কেউ স্লোগান আর নাচ-গানে সমাবেশে প্রাণচাঞ্চল্য যোগ করেছেন।
সমাবেশের মূল আকর্ষণ হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দেশের তরুণদের উদ্দেশে দলের রাষ্ট্রচিন্তা, ভবিষ্যৎ কৌশল এবং রাজনৈতিক রূপরেখা তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এছাড়া সমাবেশে উপস্থিত রয়েছেন দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা—স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও দলীয় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আয়োজকদের মতে, তরুণদের নিয়ে ধারাবাহিক সেমিনার ও সমাবেশ কেবল একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বরং এটি তরুণ প্রজন্মকে ভবিষ্যতের রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পৃক্ত করার একটি কৌশলগত উদ্যোগ।
তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন বলেন, “আজ নয়াপল্টনে আমরা যে জনস্রোত দেখছি, তা শুধু উপস্থিতি নয়—এটি গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তরুণদের নেতৃত্বে একটি সাম্যভিত্তিক, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ার পথ প্রশস্ত হচ্ছে।”
এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে মে মাসব্যাপী বিএনপির তরুণ প্রজন্মমুখী কর্মসূচির ধারাবাহিক আয়োজন। এর আগে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’। ঢাকার আয়োজনকে কেন্দ্র করে আয়োজকরা ১৫ লাখেরও বেশি তরুণ-তরুণীর অংশগ্রহণের প্রত্যাশা করেছিলেন, যা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
একুশে সংবাদ / আ.ট/এ.জে