জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর পাশে আজ জুমার নামাজ শেষে চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা অংশ নেন এবং পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
চার দফা দাবি:
১. নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করা।
২. শাপলা চত্বর (২০১৩) ও জুলাই (২০২৪) গণহত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার।
৩. হেফাজত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার।
৪. ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নেতারা বলেন,“নারী সংস্কার কমিশন পশ্চিমা এজেন্ডার অংশ, এটি বাতিল না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
তারা আরও দাবি করেন,“শাপলা ও জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে, তাদের বিচার না হলে শান্তি ফিরবে না।”
একইসঙ্গে ফিলিস্তিন, কাশ্মির ও ভারতের মুসলিমদের রক্ষায় মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়া দাবি করা হয়।
এছাড়াও জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ পৃথকভাবে বায়তুল মোকাররম এলাকায়
কাশ্মির, ফিলিস্তিন ও আরাকানের (রোহিঙ্গা) স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ করে।
তাদের দাবি,“আন্তর্জাতিক সমাজ মুসলিম জাতিসত্তার ওপর বর্বরতা দেখে নির্বিকার থাকতে পারে না।”
সম্প্রতি নারী ও পরিবার কল্যাণ সংশ্লিষ্ট একটি ‘নারী সংস্কার কমিশন’ গঠনের ঘোষণা সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
অন্যদিকে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সহিংস রাজনৈতিক দমন অভিযানে নিহতদের ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিচার দাবি করছে বিভিন্ন ইসলামী ও রাজনৈতিক গোষ্ঠী।
ঢাকা মহানগর পুলিশ বায়তুল মোকাররম এলাকায় সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিক্ষোভ পর্যবেক্ষণ করে।
পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান,“বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল, এখনো সতর্ক অবস্থানে আছি।”
হেফাজতের এক কেন্দ্রীয় নেতা ঘোষণা করেন,“দাবি না মানা হলে আগামী সপ্তাহে বিভাগীয় শহরগুলোতে বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/ ঢ.প/এ.জে