AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নির্বাচন প্রতিহত করার অধিকার কারো নাই: তথ্যমন্ত্রী


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৩:১৪ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২৩
নির্বাচন প্রতিহত করার অধিকার কারো নাই: তথ্যমন্ত্রী

নির্বাচন যে কেউ বর্জন করতে পারে, তবে নির্বাচন প্রতিহত করার অধিকার কারো নাই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ৷

 

তিনি বলেন, আমাদের দেশে অত্যন্ত সুন্দর নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনের পরিবেশ কেউ এখন নষ্ট করছে কিনা সেটি দেখার বিষয়। কেউ যদি নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। সেটি নির্বাচন পরিবেশ নষ্ট করার সামিল।

 

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিএসআরএফ এর নবনির্বাচিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে বিরোধীদলকে দমনের চেষ্টা করছে এবং জনগণের অধিকার হরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে এ বিষয়র মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফকরুলকে অনুরোধ জানাবো পেছনে ফিরে তাকানোর জন্য, ওনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন ৫০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন। এখন বাংলাদেশে তেরো কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এখন গ্রামের গৃহবধু, স্কুলের শিক্ষার্থী, রিক্সাওয়ালা, খেতে কাজ করা ব্যক্তিও এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এই ইন্টারনেটকে সার্বজনীন করেছে বর্তমান সরকার।’

 

তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে আমাদের শ্লোগানই ছিলো ডিজিটাল বাংলাদেশ। কারন ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম লক্ষ ছিলো সবার কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য করা। গ্রামে গ্রামে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়া। গ্রামে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে এমন অনেক যুবক আছে। আমরা কোনোভাবে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রন করিনা বরং সহজলভ্যতার সুযোগ গ্রহণ করে বিএনপি তাদের পেইড এজেন্ডা দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিশদগার, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী থেকে শুরু হরে সরকারদলীয় নেতাদের চরিত্র হনন করছে এবং দেশের বিরুদ্ধে বিশদগার তারা তাদের পেইড এজেন্টদের দিয়ে দেশে ভিতর ও দেশের বাইরে থেকে এনব করা হচ্ছে। তারা যে পেইড এজেন্ট নিয়োগ করেছে তা এরই মধ্যে প্রমাণিত। তাতের অডিও ক্লিব ফাঁস হয়েছে।’

 

মন্ত্রী বলেন, ‘যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসে সরকারের বিরুদ্ধে সরকারের মন্ত্রীদের সরকারি দলের নেতাদের চরিত্র হনন করে তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে তারেক রহমান। সেই বৈঠকের ছবিও আমাদের কাছে আছে। এটা কেবল ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার কারনে করতে পারছে যা কখনো সমীচিন না। এগুলো ডিজিটাল অপরাধ। ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রন করার জন্য সারা পৃথিবীতে আইন আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রতি একটি আইন পাস করেছে। সেখানে অনেক দেশ সায় দিয়ে আইন পাস করেছে। আমরা এখনো করিনি। তাদেরকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’  

তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর ডিজিটাল অরাধীদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য কাল সংবাদ সম্মেলন করছেন। মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উচিত সরকারকে ধন্যবাদ জানানো দরকার৷ কারন তিনি ভিডিও কনফারেন্সে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে মিটিং করেন সেটা শেখ হাসিনার জন্য হয়েছে। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানো দরকার৷’

 

বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে তারা বর্তমান সরকারের অধিনে নির্বাচনে যাবে না, আর সরকার বাহীনি দিয়ে বিএনপির নেতাদের নামে হামলা মামলা করা হচ্ছে এবিষয়ে মতাসত জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি পূর্ন শক্তি নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করুক। ২০১৮ সালের মতো নয় বরং পূর্ন শক্তি নিয়ে অংশ নিক। একদিকে তারা বলছেন নির্বাচনে যাবেন না আবার বলছেন আমাদেরকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে চাচ্ছে। আমরা কাউকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে চাচ্ছিনা। আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক এবং সংবিধান মেনে যে নির্বাচন হবে সেখানে অংশ নিক।’

 

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের মধ্যেই স্পষ্ট তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান কিন্ত কোন অদৃশ্য শক্তির কারনে নির্বাচনে আসতে পারছেন না। তাদের নেতৃত্বের কোনো অদৃশ্য শক্তির কারনে নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারছেনা। এটি মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবের বক্তব্যে স্পষ্ট। আমি তাদের অনুরোধ জানাই, অদৃশ্য থাবা থেকে মুক্ত হয়ে বিএনপি দলটাকে জনগনের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য।’

 

যুক্তরাষ্ট্র থেকে দ্বিতীয় আরো একটি পর্যবেক্ষক দল আগামী২৮ জুলাই ঢাকায় আসবে তারা নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে একটি প্রতিবেদনও দেবে, এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২৮ জুলাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দল আসতেই পারে আসলেতো ভালো। বাংলাদেশের নির্বাচন কেমন হবে সেটা দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে। আমরাও চাই তারা আসুক, নির্বাচন পর্যবেক্ষন করুক।

 

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন সিটি করপোরেশন নির্বাচন কত সুষ্ঠু হয়েছে এবং একটা ঘুষিকে যেভাবে গণমাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পশ্চিম বাংলায় যে ৩৯ জন মারা গেছে। আর এখানে একটা ঘুষি মেরেছে। তাহলে পরিবেশ কোথায় ভালো। ঢাকা ১৭ এর নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে একজন প্রার্থীকে হেনস্থা করা হয়েছে। এটা কোনভাবেই সমীচীন নয়।আসরা সেটার নিন্দাও জানিয়েছি। সেখানে আটজন গ্রেফতারও করা হয়েছে।

 

মন্ত্রী বলেন, এখানে নির্বাচন পরিস্থিতি ভালো।   নির্বাচনের পরিবেশ কেউ নস্ট করছে কীনা সেটা এখন দেখার বিষয়। কেউ যদি নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় সেটি নির্বাচনের পরিবেশ নস্ট করার সামিল। নির্বাচন যে কেউ বর্জন করতে পারে কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার অধিকার কারো নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে দ্রুত ব্যবস্থা করে এসমস্ত ঘটনার প্রবাহ এবং তার প্রেক্ষিতেই তাদের ব্যবস্থা।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি
 

Link copied!