গত ৩১ ঘণ্টায় দেশে মোট চারবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সবশেষ শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকায় ৩ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এক সেকেন্ড পর নরসিংদীতে ৪ দশমিক ৭ মাত্রার কম্পন রেকর্ড করা হয়।
এর আগে সকালে ৩ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আর গতকাল শুক্রবার ভোরে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার বড় ভূমিকম্পে দুই শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়।
অল্প সময়ের ব্যবধানে চার দফা ভূমিকম্পে জনমনে উদ্বেগ ও শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে—সামনে কি আরও বড় কোনো ভূমিকম্প আসছে, এ প্রশ্ন এখন সর্বত্র।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “গতকালের ভূমিকম্প এবং আজকের কম্পনগুলোকে আমি ‘আফটারশক’ বলব। ধৈর্য ধরে দু-তিন দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। স্পষ্টতই ভূগর্ভে বড় ধরনের শক্তি সঞ্চিত আছে, যা বেরিয়ে আসবেই।”
তিনি আরও বলেন, “গতকাল মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একই এলাকায় আরও তিনটি কম্পন—অর্থাৎ সঞ্চিত শক্তি যেকোনো সময় মুক্ত হতে পারে। আমরা একটি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে আছি।”
করণীয় নিয়ে তিনি বলেন, “একমাত্র উপায় হলো নিয়মিত ড্রিল ও সচেতনতা বৃদ্ধি। স্মার্টফোনভিত্তিক ন্যাচারাল হ্যাজার্ড গেম তৈরি করে ৩–৬ মাসের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়ানো সম্ভব।”
বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেন, “৩৬ ঘণ্টায় আমরা ৩ বার ভূকম্পন অনুভব করেছি। এগুলো আফটারশক নাকি ফোরশক—তা এখনই বলা কঠিন।”
তিনি যোগ করেন, “আগামী দুই–তিন দিন পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। আরও কম্পন হলে ধরে নিতে হবে সামনে বড় কিছু ঘটতে পারে। তবে দু-একটি কম্পন দিয়ে বিচার করা ঠিক নয়। বড় ভূমিকম্পের আগে অনেক শক হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে এত ঘন ঘন ভূমিকম্প আগে দেখা যায়নি। তাই কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। তারপরই বলা যাবে বড় কোনো কম্পন আসছে কিনা। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।”
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

