রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলতে বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, এতে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে।
রোববার নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের দ্বিতীয় দিনের সূচনা বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন। সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ অংশ নিয়েছেন।
সিইসি বলেন, ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কমিশনকে একাধিক বড় ও জটিল কাজে হাত দিতে হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল ভোটার তালিকা হালনাগাদ।
সিইসি জানান, ৭৭ হাজার মাঠকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে গত কয়েক মাস ধরে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ২১ লাখ মৃত ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে- যারা অতীতে তালিকায় থেকে যেতেন এবং তাদের নামে ভোট পড়ার ঝুঁকি ছিল। একই সঙ্গে ৪০ লাখের বেশি নতুন ভোটার শনাক্ত করা হয়েছে, যারা ভোটার বয়সে উপনীত হলেও তালিকায় নাম ছিল না।
সিইসি আরও জানান, প্রতি নির্বাচনে প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ ভোটগ্রহণ কাজে দায়িত্ব পালন করেন, এদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তারাও থাকেন। তারা নিজেরা কখনো ভোট দিতে পারেন না। এবার তাদের জন্যও ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ছাড়া নিজ দায়িত্বের বাইরে কর্মস্থলে থাকা সরকারি চাকরিজীবী ও কারাবন্দিদের জন্যও ভোটদানের নতুন ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনী সংস্কার কমিশন রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ৮০টির বেশি সংলাপ করেছে, যা ইসিকে নীতিনির্ধারণে সহায়তা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে ওই সংস্কারের কিছু সুপারিশ যৌথভাবে বাস্তবায়নের ঘোষণাও রয়েছে।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আচরণবিধি সঠিকভাবে পালন করা হলে নির্বাচন সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের কর্মীদের আচরণবিধি সম্পর্কে ব্রিফ করার অনুরোধ করছি। কেননা, নির্বাচন কমিশন একা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। এজন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের সহযোগিতা অপরিহার্য।
এদিন গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা সংলাপে এসেছেন।
একুশে সংবাদ/এসআর



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

