AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে স্মরণীয় দিন আজ : প্রধান উপদেষ্টা


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮:৫৪ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে স্মরণীয় দিন আজ : প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার আদায়ের আজকের দিনটি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কনভেনশনে বাংলাদেশের অনুসমর্থন পত্রে স্বাক্ষর হয়। স্বাক্ষর করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, শ্রম সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশে আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স টুনোনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা।

স্বাক্ষরিত তিনটি কনভেনশন হলো—
১. পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কনভেনশন, ১৯৮১ (নং ১৫৫)
২.  নিরাপত্তা উন্নয়ন কাঠামো কনভেনশন, ২০০৬ (নং ১৮৭)
৩. কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধ কনভেনশন, ২০১৯ (নং ১৯০)

এর মধ্যে ১৮৭ ও ১৫৫ নম্বর কনভেনশনকে আইএলও ২০২২ সালে মৌলিক কনভেনশন হিসেবে ঘোষণা করে।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “২০১৩ সালের সেই দুর্ঘটনার পর সবাই বলেছিল পরিবর্তন আসবে, কিন্তু কিছুই হয়নি—শুধু বলা হয়েছিল, হবে, হচ্ছে। আমরা বলেছি—‘হচ্ছে-হবে’ নয়, এবার করেই দেখাব।”

তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কাজই ছিল শ্রম অধিকার নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া। এ বিষয়ে একাধিক বৈঠক করেছি। আজ আমরা একটি বড় ধাপে পৌঁছেছি, কিন্তু এটি কেবল শুরু। কাগজে সই করলেই কাজ শেষ নয়—এখন দায়িত্ব হলো কনভেনশনগুলোর প্রতিটি শর্ত বাস্তবায়ন করা।”

শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন,
“আজ অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এটি অর্জন করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা সবসময় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন—তার নেতৃত্ব ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই সাফল্য এসেছে।”

লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, “এই যাত্রা সহজ ছিল না, কিন্তু তা ছিল অত্যন্ত অর্থবহ। আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের অবস্থান এখন আরও শক্ত হলো।”

আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স টুনোন বাংলাদেশের এই অনুসমর্থনকে “শ্রম সুরক্ষায় ঐতিহাসিক অগ্রগতি” হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকার, শ্রমিক সংগঠন ও নিয়োগকর্তা—সব অংশীদারদের সঙ্গে মিলে আইএলও কনভেনশনগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।”

তিনি আরও জানান, শ্রম আইন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নেও আইএলও সহায়তা দেবে এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে একটি ‘জাতীয় শ্রম সনদ’ (Labor Charter) প্রণয়নের প্রস্তাব করেন।

এই তিনটি কনভেনশনে অনুসমর্থনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ, যে আইএলও’র ১০টি মৌলিক কনভেনশনেই স্বাক্ষরকারী হলো।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষায়, “রানা প্লাজার শ্রমিকরা যে দায়িত্ব আমাদের কাঁধে দিয়ে গেছে, আজ আমরা সেই যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে পৌঁছেছি।”

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

Link copied!