বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা পাওয়ার আশায় রয়েছে বাংলাদেশ। এই ঋণ কর্মসূচির পরবর্তী ধাপের মূল্যায়ন করতে শিগগিরই ঢাকায় আসছে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল, যারা এবার দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের অগ্রগতি যাচাই করবে।
রাজস্ব খাত ও আর্থিক খাতের সংস্কারই থাকবে আইএমএফের মূল পর্যবেক্ষণের কেন্দ্রবিন্দু— বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য দেন সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে রাজস্ব আহরণ কাঠামো শক্তিশালী করা এবং আর্থিক খাতের সংস্কার জোরদার করতে হবে। চলমান কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করছে এই দুটি ক্ষেত্রে ধারাবাহিক অগ্রগতির ওপর।”
আইএমএফের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৫–২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা আগের অর্থবছরের ৩ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেশি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একই সময়ে গড় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৮ দশমিক ৪২ শতাংশে নামতে পারে, আর ২০২৬–২৭ অর্থবছরে তা আরও হ্রাস পেয়ে ৫ দশমিক ০৬ শতাংশে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে আইএমএফ সতর্ক করেছে— সংস্কার বাস্তবায়নের ধীরগতি, মূল্যস্ফীতির প্রত্যাশিত হারে না কমা, জ্বালানি সরবরাহে সীমাবদ্ধতা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে