AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শ্রীবরদী গারপাহাড়ে বন্য হাতির আতঙ্ক, ক্ষতিগ্রস্ত ধানখেত


Ekushey Sangbad
মো: আসিফ, শ্রীবরদী, শেরপুর
০২:২২ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫

শ্রীবরদী গারপাহাড়ে বন্য হাতির আতঙ্ক, ক্ষতিগ্রস্ত ধানখেত

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় দিন দিন বেড়েছে বুনো হাতির আনাগোনা। দিনের বেলায় হাতির দেখা না মিললেও সন্ধ্যা নামতেই বালিজুরী–হালুয়াহাটি পাহাড় থেকে দলবেঁধে লোকালয়ে নেমে আসছে হাতি। হঠাৎ এই হাতির আক্রমণের কারণে রাতভর নির্ঘুম কাটাচ্ছেন কৃষকরা।

দলবদ্ধ হাতির দল কাঁচা-পাকা ধানখেতসহ ফসলি জমি নষ্ট করছে। স্থানীয় কৃষকদের তথ্যমতে, গত দুই–তিন রাতে ৩০০–৪০০ শতক জমির ধানখেত বন্যহাতির আক্রমণে বিনষ্ট হয়েছে।

জানা যায়, প্রতি বছর ধান পাকলে উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে হাতির আক্রমণ শুরু হয়। হাতিরা দলবদ্ধভাবে খেতে প্রবেশ করে ধানখেত বিনষ্ট করে। সম্প্রতি হালুয়াহাটি, বালিজুরী, ছোট বালিজুরী ও রাসাজানসহ কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের ফসল এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি কোনো সহযোগিতা না পাওয়ায় অসহায় দিন কাটাচ্ছেন। রাতভর পাহারা দিয়ে ফসল রক্ষার চেষ্টা চলছে।

সরেজমিনে গেলে হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ধানখেতের ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়। এ সময় কৃষকদের দেওয়া তথ্যমতে, গত দুই-তিন রাতে হাতির দল পা দিয়ে মাড়িয়ে ৩০০-৪০০ শতক জমির ধানখেত বিনষ্ট করেছে। কৃষকরা সারা রাত জেগে পাহারা দিয়েও ফসল রক্ষা করতে পারছেন না। তারা জানান, হাতি তাড়াতে স্থায়ীভাবে নেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ। হাতির দল ধানখেতে নামলে তারা মশাল, লাইট, জেনারেটরের শব্দ দিয়ে হাতি তাড়াতে চেষ্ট করে। কিন্তু হাতির দল ফসল সাবাড় করে চলে যায়। এখনো হাতির দল বালিজুরী পাহাড়ে অবস্থান করছে ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অর) মো. হাসিব-উল-আহসান বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা অব্যাহত থাকবে করছে। তাই হাতির ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে সীমান্তবর্তী কৃষকদের।

বালিজুরী গ্রামের কৃষানি নাজমা বলেন, ‍‍`৭৫ শতক জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। গত রাতে হাতির দল আমার সম্পূর্ণ গেত নষ্ট করে ফেলেছে।‍‍` তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‍‍`কৃষি অফিসের কোনো লোকজন আমাদের এখানে আসে না। আমরা সরকারের কোনো সহযোগিতা পাইনা। পাহাড়ে থাকি বলে আমরা কি সরকারের নাগরিক না? কেন আমরা কোনো সহযোগিতা পাই না?‍‍`

মৃত মতিউর রহমানের স্ত্রী হামিদা খাতুন বলেন, ‍‍`হাতির আক্রমণে আমার ১০০ শতাংশ জমির ধানখেত নষ্ট করেছে। আমরা মশাল, তেল কোনো কিছুই পাই না। এখন আমার সংসার কীভাবে চলবে। আমার না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হবে।‍‍` কৃষক সাইফুল মিয়া বলেন, ‍‍`আমার ৩০ শতাংশ জমির ধানখেত হাতির দল মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। প্রতি বছরই হাতির আক্রমণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো সহযোগিতা করা হয় না। এছাড়াও ইসরাফিলের ৫০ শতক, সবদুলের ৬০ শতক, হানিফ নাংলার ৩০ শতক, কফিলের ৬০ শতক, গোলাপের ২০ শতকসহ বিভিন্ন কৃষকের ধানখেত বিনষ্ট করেছে।‍‍`

বালিজুরী রেঞ্চের বিট কর্মকর্তা মাজহারুল হক বলেন, ‍‍`বন বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা সারা রাত জেগে ইআরটি দলের সদস্য ও স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে হাতি তাড়াতে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা কৃষকদের ধানখেত রক্ষায় সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করছি। হাতি তাড়াতে বনবিভাগের পক্ষ থেকে আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।‍‍`

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান আকন্দ বলেন, ‍‍`আমরা প্রতিনিয়ত তথ্য সংগ্রহ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাচ্ছি। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা এলে আমরা তা কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেব।‍‍` উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাসিব-উল-আহসান বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা অব্যাহত থাকবে। 

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!