গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন, কেউই দায়মুক্তি পাবে না।
শনিবার (৩০ আগস্ট) জারি করা এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, এ হামলা শুধু নুরুল হক নূরের ওপরই নয়, বরং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনাকে আঘাত করেছে।
সরকার আশ্বস্ত করেছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে সম্পন্ন হবে। জড়িতদের বিচার দ্রুততার সঙ্গেই স্বচ্ছভাবে করা হবে।
নুরুল হক নূর ও আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসা নিশ্চিতে বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
বিবৃতিতে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত নুরুল হক নূর সাহসিকতা ও নেতৃত্বের ভূমিকা রেখে গেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার মনে করে, তিনি একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি জনগণের সম্মিলিত প্রত্যাশার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকার বলেছে, সংগ্রামের অর্জন রক্ষা করতে জাতীয় ঐক্য এখন অত্যাবশ্যক।
সরকার আবারও স্পষ্ট করেছে যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। কোনো ষড়যন্ত্র বা বাধা এ প্রক্রিয়া ঠেকাতে পারবে না। জনগণের ইচ্ছাই চূড়ান্তভাবে প্রতিফলিত হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে