ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, “নতুন বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে তারুণ্য ও ইনসাফকে ধারণ করে করতে হবে। দিল্লি ও লন্ডনের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না। স্বাধীন বাংলাদেশ আর কারও প্রেসক্রিপশনে চলবে না। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এই দেশের জনগণ। দিল্লিতে বসে, পিন্ডিতে বসে আর কোনো রাজনীতি চলবে না।”
শনিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পাবলিক ক্লাব মিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের সমাবেশ’-এ অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের রাজনীতি বাইরে বসে লেখা যাবে না। দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষায় নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। শান্তিপূর্ণ ও মানবিক বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তরুণ সমাজকে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র রক্ষায় সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “মেধা, সততা ও দেশপ্রেমই বাংলাদেশের রাজনীতিকে বদলে দিতে পারে। তরুণরা যদি এগিয়ে আসে, সুন্দর বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।”
উত্তরবঙ্গের ৫৪ বছরেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও অযোগ্য নেতৃত্ব, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও ভারতের প্রেসক্রিপশনে পরিচালিত রাজনীতির কারণে উত্তরবঙ্গের মাটি ও মানুষের উন্নয়ন হয়নি। এখন পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে, এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।”
আবু সাদিক কায়েম আরও বলেন, “এই দেশ থেকে চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ধর্ষকদের দূর করে শহীদদের আকাঙ্ক্ষার আলোকে বৈষম্যহীন ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য এমন নেতৃত্ব বেছে নিতে হবে যাদের কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য আছে এবং যারা জনগণের কাছে জবাবদিহির বাধ্যবাধকতা অনুভব করে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইনসাফের প্রতিনিধিদের ভূমিধ্বস বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি—তরুণরা যেদিকে যাবে, আগামীর বাংলাদেশ সেদিকেই যাবে।”
ঠাকুরগাঁও–৩ আসনে জামায়াতের প্রার্থী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিগবা, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান, ঠাকুরগাঁও–২ আসনের জামায়াতের প্রার্থী আব্দুল হাকিম, জামায়াতের নেতা মাওলানা সোলাইমান হোসাইন প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

