গাজীপুরের কালীগঞ্জে উলামা-মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজ মাঠে উপজেলা ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের আয়োজনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের সেক্রেটারি আলী আহসান মোজাহিদ ও পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা শিহাব উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি মাওলানা যাকারিয়া হোসাইন বিন কবির।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তা’মিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন ও শিক্ষাবিদ মাওলানা যাইনুল আবেদীন। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য, জেলা–মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর–৫ আসনের জামায়াত–মনোনীত প্রার্থী মো. খায়রুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ছাইদুল হক, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও গাজীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা সেফাউল হক, কামরা মাশক ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা জাকারিয়া, কালীগঞ্জ বাজার মদিনাতুল মনোয়ারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ফেরদৌস খান সালেহী, কাজী আজিম উদ্দিন কলেজ মসজিদের খতিব মাওলানা এস. এম. আব্দুল হান্নান বেলালী।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা জামায়াতের আমীর হাজী মো. আফতাব উদ্দিন, হেফাজতে ইসলামের উপজেলা সভাপতি মাওলানা খুরশীদ আলম, খেলাফত মজলিশের উপজেলা সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন গাজীপুরী, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মাহমুদুল হাসান, পুবাইল থানা জামায়াতের আমীর মো. আশরাফ আলী কাজল, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ–সুপার, শিক্ষক, সাংবাদিক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন—জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে; ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার ও পেশিশক্তির প্রদর্শন রোধ করতে হবে এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে হবে।
তারা আরও বলেন, শরীয়ার সীমারেখার আলোকে নারী সমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠা, ইসলামবিরোধী সকল অপচেষ্টা বন্ধ, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড ও ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি সামাজিক শান্তি–শৃঙ্খলা রক্ষায় ধর্ম অবমাননা রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং সকল প্রকার জুলুম, বৈষম্য, চাঁদাবাজি ও মসজিদ–মাদরাসা দখলবিরোধী কার্যক্রম বন্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

