জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত রাজনৈতিক দল ও জোট নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।”
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এ বৈঠকে তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিল ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান স্মরণ করে সব রাজনৈতিক দলকে একত্রিত করা—যাতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান একটি ঐক্য গড়ে ওঠে। কিন্তু এক বছর পার না হতেই নতুন করে নানা ষড়যন্ত্রের আলামত দেখা যাচ্ছে।”
তিনি রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে বলেন, “মতপার্থক্য থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য আরও স্পষ্ট হতে হবে। অন্যথায় ষড়যন্ত্রকারীরা এটিকে দুর্বলতা হিসেবে নেবে।”
বৈঠকে উপস্থিত নেতারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণের পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণঐক্য ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
নেতৃবৃন্দ সংস্কার, ন্যায়বিচার এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় চলমান উদ্যোগে পূর্ণ সমর্থন জানান এবং জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্বদলীয় আলোচনা আরও নিয়মিত করার আহ্বান জানান।
বৈঠকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সৈয়দ হাসিবউদ্দিন হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির মজিবুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদের, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির তানিয়া রব, ১২ দলীয় জোটের শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রুহিন হোসেন প্রিন্স ও গণফোরামের মিজানুর রহমান অংশ নেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে