ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্র-জনতা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছে। অনুষ্ঠানটি পৌর শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা জানান, আগামীকাল শুক্রবার জুম্মা নামাজ শেষে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হবে।
অন্দোলনকারীরা বলেন, গত ২৭ অক্টোবর রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালনের সময় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব রেলস্টেশনে আটকা পড়ে। দীর্ঘ সময় স্টেশনে ট্রেনটি আটকা থাকার পর কর্মসূচি শেষের দিকে স্টেশন মাস্টারের নির্দেশে ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার আগে লোকোমাস্টার হঠাৎ জোরে হুইসেল দেন। এ সময় স্টেশনের রেললাইনে আন্দোলনকারীরা অবস্থান করছিলেন। ট্রেনটি চলতে শুরু করলে কয়েকজন আন্দোলনকারী ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রেনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
তারা আরও জানান, “আমরা ১২ অক্টোবর থেকে শান্তিপূর্ণভাবে জেলার দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। কখনো রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করতে চাইনি। কিন্তু ঐদিনের পরিস্থিতির জন্য দায়ী স্টেশন মাস্টার ও ট্রেনের লোকোমাস্টার। তাই দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটকৃতদের মুক্তির দাবি করছি। এছাড়া এই ঘটনার দায়ী স্টেশন মাস্টার ও লোকোমাস্টারের বিচারের দাবি জানাই।”
মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা মাওলানা সাইফুর রহমান শাহারিয়ার, জাহিদুল ইসলাম, বিছাস সভাপতি মহিউদ্দিন, ছাত্রনেতা হান্নান হিমু ও ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিন জুনাইদ প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

