সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে কোনো বিভেদ নেই বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে সেনা সদর। বরং রাষ্ট্রের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় উভয় পক্ষ পরস্পরের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্স পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম উদ দৌলা বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব তথ্য ঘুরছে, তা ভিত্তিহীন। সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে, এক লক্ষ্যেই কাজ করছে।”
করিডর ইস্যুতে বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,“বাংলাদেশ-মিয়ানমার করিডর একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এই বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো পার্থক্য নেই। করিডরের সঙ্গে সীমান্তে আরসার উপস্থিতির কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই। উভয় বিষয় পৃথকভাবে দেখা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারের নির্দেশনায় আমরা কাজ করি। সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমরা সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করি, ভবিষ্যতেও করব।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনা সদরের কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেবে— এমন গুজব সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই বিষয়ে সেনাবাহিনীর ভেতরেও কোনো আলোচনা হয়নি।”
কেএনএফ ও ৩০ হাজার ইউনিফর্ম প্রসঙ্গে জেনারেল নাজিম বলেন, “চট্টগ্রামের একটি কারখানায় বিপুল সংখ্যক ইউনিফর্ম উদ্ধার হয়েছে, যেগুলো নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর হতে পারে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। বম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা মাত্র ১২ হাজার, অথচ ৩০ হাজার ইউনিফর্ম উদ্ধারের ঘটনা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক এবং আমরা তা গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।”
সেনা সদর জানায়,গত জুলাইয়ের অভ্যুত্থান-পরবর্তী ছাত্র আন্দোলনে আহত ৪ হাজার ৫৯৬ জনকে সিএমএইচে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে এখনও ৩৬ জন চিকিৎসাধীন।
সেনাবাহিনী জানায়, ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে জাতীয় মহাসড়ক, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালে টহল, চেকপোস্ট এবং কালোবাজারি প্রতিরোধে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
“জনগণের আস্থা রক্ষা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও সেনাবাহিনী হাতে হাত রেখে কাজ করছে। বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী গুজবে কান না দিতে সকলকে আহ্বান জানানো হয়।”
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে