বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ২০২৫ সালের মধ্যে তিনটি যৌথ সামরিক মহড়া এবং একটি নতুন সক্ষমতা সংযোজনের মাধ্যমে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব আরও দৃঢ় করবে। এই উদ্যোগের ফলে দুই দেশের অভিন্ন নিরাপত্তা লক্ষ্যে অগ্রগতি আসবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা আরও মজবুত হবে।
রোববার (২০ জুলাই) ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক মিডিয়া নোটে এ তথ্য জানিয়েছে।
নোটে জানানো হয়, চলতি বছরের যৌথ কর্মসূচিগুলো হলো:
টাইগার লাইটনিং মহড়া
চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্র আর্মি প্যাসিফিকের যৌথভাবে ‘টাইগার লাইটনিং’ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। এতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, শান্তিরক্ষা, জঙ্গল অভিযানে টিকে থাকার কৌশল, আহত সদস্যদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া এবং তাৎক্ষণিক বিস্ফোরক (আইইডি) মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
টাইগার শার্ক ২০২৫
‘টাইগার শার্ক’ মহড়া (ফ্ল্যাশ বেঙ্গল সিরিজের অংশ) বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর মধ্যে যৌথ প্রশিক্ষণ। ২০০৯ সাল থেকে চালু এই মহড়ায় স্বল্প পাল্লার অস্ত্র ব্যবহারে দক্ষতা ও প্যাট্রোল বোট পরিচালনার প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এতে বাংলাদেশ স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ ইউনিট ও প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। উভয় দেশের ব্যবহৃত মার্কিন সামরিক সরঞ্জামও এই মহড়ার অংশ হবে।
প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল মহড়া
চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল’ মহড়া। এই প্রশিক্ষণ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সম্পর্কের অংশ হিসেবে দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবহৃত সি-১৩০ পরিবহন বহরের দক্ষতা বাড়াবে। মহড়ায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার (SAR) এবং অ্যারোমেডিকেল অপারেশন নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যা মানবিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করবে।
আরকিউ-২১ কর্মসূচি
বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীর জন্য মানববিহীন আকাশযান (UAS) ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ‘আরকিউ-২১ ব্ল্যাকজ্যাক’ প্রযুক্তি চালু করবে। সেনা ও নৌবাহিনীর সমন্বিত ইউনিট এই প্রযুক্তি পরিচালনা করবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ সমুদ্রসীমা পর্যবেক্ষণ, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং শান্তিরক্ষা মিশনে আরও দক্ষতা অর্জন করবে।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে