AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপন বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যা


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪:৩৪ পিএম, ১৯ জুলাই, ২০২৫

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপন বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যা

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের (ওএইচসিএইচআর) মিশন চালু নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

শনিবার (১৯ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের মধ্যে ৩ বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এর উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সহযোগিতা করা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই মিশন সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সংগঠনকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেবে। আইনি সহায়তা, দক্ষতা বৃদ্ধিসহ প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারে সহায়তা করবে। এতে করে বাংলাদেশ যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা পালন করতে পারে, সেই লক্ষ্যেই কাজ করবে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে গৃহীত সংস্কার ও জবাবদিহিতার প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন এই উদ্যোগ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে সম্মান জানিয়ে জাতিসংঘ কাজ করবে। সরকারও স্বীকার করে, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আদর্শিক অবস্থান নিয়ে সমাজের একটি অংশে উদ্বেগ রয়েছে। বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতা ও মূল্যবোধকে সম্মান করা এই অংশীদারিত্বের পূর্বশর্ত। ওএইচসিএইচআরের মিশন কেবল গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও প্রতিকারে মনোযোগী থাকবে। এটি দেশের আইন ও সামাজিক কাঠামোর বাইরে কোনো সামাজিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে জড়াবে না।

সরকার আরও জানিয়েছে, মিশন সবসময় স্বচ্ছতা বজায় রাখবে এবং স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। জাতিসংঘও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বাস্তবতাকে সম্মান করে কাজ করবে। সরকার প্রয়োজনে এ চুক্তি বাতিলের অধিকার সংরক্ষণ করে রেখেছে, যদি মনে করে এই অংশীদারিত্ব আর জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম-খুন, গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে, যা তদন্ত ও জবাবদিহির আওতায় আসেনি। সে সময় এ ধরনের মিশন থাকলে অনেক ঘটনা তদন্ত, নথিভুক্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় আসতে পারত। আজ মানবাধিকার প্রশ্নে সরকারের প্রতিশ্রুতি ন্যায়বিচারকে ভিত্তি করেই সামনে এগোচ্ছে।

সরকার বলছে, এই অংশীদারিত্বকে সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে—প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের মানোন্নয়নের, যা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থেকে পরিচালিত হবে।

 

একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে

Link copied!