ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িত করার অভিযোগকে ‘পুরোনো, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়েছে ডিএনসিসি।
রোববার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে ডিএনসিসির মুখপাত্র ও তথ্য কর্মকর্তা ফারজানা ববি বলেন, “এই অভিযোগগুলো ছড়াচ্ছে সেই মহল, যারা বিগত শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও পরিবেশ ধ্বংসে জড়িত ছিল এবং যাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোহাম্মদ এজাজ সোচ্চার ছিলেন।”
তিনি জানান, মোহাম্মদ এজাজ একজন পরিচিত পরিবেশবাদী, লেখক ও বুদ্ধিজীবী, যিনি গত ১৬ বছর ধরে জলাধার দখল, পানির বৈষম্য, এবং আন্তঃসীমান্ত নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। এসব বিষয় তুলে ধরার কারণে তিনি একাধিক প্রভাবশালী গোষ্ঠীর বিরাগভাজন হন।
২০১৫ সালে তার মালিকানাধীন একটি ভবন থেকে কয়েক ব্যক্তির গ্রেপ্তারের ঘটনায় তাকে হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়াতে চেষ্টার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, “তিনি সেখানে বাস করতেন না, ঘটনার সঙ্গে তার সরাসরি কোনো সম্পর্ক ছিল না। শুধু মালিকানার সূত্রে তার নাম জড়ানো হয়েছিল। তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় তিনি সম্পূর্ণরূপে খালাস পান, যা তার নির্দোষিতার প্রমাণ।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মোহাম্মদ এজাজ ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার। তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী জেলে সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ, প্রগতিশীল আন্দোলনে নেতৃত্ব ও বহুত্ববাদে বিশ্বাসী সমাজ গড়ার লক্ষ্যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ডিএনসিসির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর, এজাজ শুরু করেছেন স্বচ্ছতা ও জনগণকেন্দ্রিক শাসনের একটি নতুন ধারা। তিনি সব প্রকল্পের তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করে নাগরিকদের সরাসরি নজরদারির সুযোগ দিয়েছেন, যা ক্ষমতাকেন্দ্রিক দুর্নীতিবাজ ও পরিবেশ ধ্বংসে জড়িত মহলকে বিক্ষুব্ধ করেছে।
ডিএনসিসি দাবি করে, “পুরোনো এই অভিযোগ পুনরুজ্জীবিত করে মোহাম্মদ এজাজের সংস্কারমূলক পদক্ষেপগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চলছে। প্রশাসকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে যাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে তার চলমান লড়াই থেমে যায়, সেটিই এই ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য।”
ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের প্রতি আস্থা ও সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ চ.ট/এ.জে