ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান এবং পূর্ণ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সশস্ত্র প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গাজা নিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস।
শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, “যতদিন দখলদার শক্তির উপস্থিতি থাকবে, ততদিন প্রতিরোধ আন্দোলন এবং সশস্ত্র সংগ্রাম আমাদের বৈধ জাতীয় কর্তব্য হিসেবে অব্যাহত থাকবে।”
হামাস জানায়, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যার রাজধানী হবে জেরুজালেম এবং যেখানে জনগণের জাতীয় অধিকার ও সার্বভৌমত্ব পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকোফ দাবি করেন, চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাস নাকি অস্ত্রসমর্পণের আগ্রহ দেখিয়েছে।
হামাস তাদের বিবৃতিতে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, “আমরা কেউ অস্ত্র নামিয়ে রাখিনি এবং করবও না, যতক্ষণ না ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দীর্ঘ যুদ্ধ ও অবরোধে প্রাণ হারিয়েছেন ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও দেড় লাখের বেশি মানুষ। অব্যাহত বোমাবর্ষণ ও মানবিক সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গাজাবাসী।
যুদ্ধবিরতি আলোচনা চললেও এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এর জন্য হামাসের ‘অসহযোগিতাকে’ দায়ী করলেও হামাস পাল্টা অভিযোগ করে বলেছে, ইসরায়েল সংকট উত্তরণে গড়িমসি করছে এবং অগ্রহণযোগ্য শর্ত দিচ্ছে।
হামাসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, “যতদিন গাজার দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয়ের নিরসন না হবে, ততদিন দখলদারদের সঙ্গে কোনো নতুন আলোচনা নয়।”
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে