জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ জারি করেছে সরকার। সোমবার (১২ মে) দিবাগত রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আইএমএফের শর্ত পূরণের অংশ হিসেবে জারি করা এ অধ্যাদেশে আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এনবিআরের জনবল নতুন গঠিত রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে ন্যস্ত হবে। এখান থেকে প্রয়োজন অনুসারে জনবল রাজস্ব নীতি বিভাগেও পদায়ন করা যাবে।
রাজস্ব নীতি বিভাগের কার্যপরিধিতে আনা হয়েছে সামান্য পরিবর্তন। আগে যেখানে "পরিবীক্ষণ" শব্দটি ছিল, সেখানে এখন “মূল্যায়ন” শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। এ বিভাগ কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে।
অন্যদিকে, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রশাসনিক অনুবিভাগের বিভিন্ন পদে প্রশাসন (অ্যাডমিন) ক্যাডারের পাশাপাশি আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এনবিআরের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল ৩টা থেকে এনবিআর ভবনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করবেন তারা।
এ বিষয়ে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোপনে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছে এবং এতে কর্মকর্তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতিফলন ঘটেনি।
এনবিআর সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। বাকি তিন মাসে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে প্রতিদিন গড়ে আদায় করতে হবে ২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। এই মুহূর্তে কর্মবিরতির মতো কর্মসূচি বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আয়কর ও কাস্টমস কর্মকর্তা বলেন, “অধ্যাদেশে আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী অনেক বিষয় উপেক্ষিত হয়েছে। আজকের অবস্থান কর্মসূচি থেকে আমরা আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবো।”
একুশে সংবাদ/ আ.ট/এ.জে