বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্তাদের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল একাধিক বিষয় নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। হার্ট অ্যাটাকের পর এটি ছিল তার প্রথম সংবাদ সম্মেলন। এ সময়, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)-এর তার দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারও উপস্থিত ছিলেন।
হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা এবং সমালোচনার জেরে ক্ষোভ
ঘটনার সূত্রপাত হয় ডিপিএলে আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যাচে, যেখানে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর ফলে তাকে প্রথমে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়, এবং ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরবর্তীতে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ বাইলজ পরিবর্তন করে হৃদয়ের শাস্তি এক ম্যাচে নামিয়ে আনে। তবে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার পর লিগের টেকনিক্যাল কমিটি সেটি বাতিল করে এবং হৃদয়কে আবারও দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেয়।
তামিমের অসন্তোষ এবং বিসিবির সিদ্ধান্ত
এই পুরো বিষয়টি নিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর, সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল বলেন, "প্রথমে যখন দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, তখন আমরা কেউ কিছু বলিনি। এরপর, এক ম্যাচে শাস্তি কমানোর পর আবার দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। হৃদয়ের শাস্তি নিয়ে এমন ওঠানামা হাস্যকর।"
তিনি আরও বলেন, "মোহামেডান থেকে চাপ দিয়ে তাকে খেলানো হয়েছে কিনা, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো, বিসিবি তাকে খেলতে অনুমতি দিয়েছে কিনা। যদি বিসিবি অনুমতি দেয়, তাহলে সে তার শাস্তি ভোগ করেছে। একই অপরাধের জন্য এক খেলোয়াড়কে দ্বিতীয়বার শাস্তি দেওয়া মানে কোনো ভিত্তি ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া।"
ডিপিএলে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ এবং ফিক্সিং প্রসঙ্গ
তামিম ইকবাল তার অসন্তোষের তালিকায় আরও যোগ করেন, ডিপিএলে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়গুলিও। বিশেষ করে, অভিযোগ ওঠার পর অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের দিয়ে সেই বিতর্কিত মুহূর্ত পুনরায় তুলে ধরা এবং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফিক্সিংয়ের কোন অভিযোগ উঠলে তা দ্রুত গণমাধ্যমে প্রকাশ করার বিষয়েও তিনি এবং অন্যান্য ক্রিকেটাররা ক্ষুব্ধ।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে মিরপুরের একাডেমি ভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় বিসিবির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ, দুই পরিচালক নাজমূল আবেদীন (ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান) এবং ইফতেখার রহমান (আম্পায়ার্স এবং মিডিয়া কমিটির প্রধান)।
একুশে সংবাদ// চ.ট//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :