আজ ১৫ জুন, রোববার—বিশ্ব বাবা দিবস। পৃথিবীর নানা প্রান্তে আজ দিনটি পালিত হচ্ছে পিতার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বাবা দিবস, যার সূচনা হয়েছিল বিশ শতকের প্রথম দিকে।
মায়ের পাশাপাশি বাবারাও সন্তানের জন্য নিবেদিতপ্রাণ—এই বার্তাটি পৌঁছে দিতেই এই দিনটির প্রবর্তন। এ উপলক্ষে সন্তানেরা তাদের বাবাকে বিভিন্ন উপহার দিয়ে, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে দিনটি উদযাপন করে। উপহার যেমন ভিন্ন হয় দেশ ও সংস্কৃতি অনুসারে—কোথাও ফুল ও শুভেচ্ছা কার্ড, কোথাও নেকটাই, টুপি, কিংবা খেলাধুলার সরঞ্জাম—তবে অনুভবটা একই থাকে।
বাবাদের প্রতি প্রথম সম্মান জানানো হয়েছিল ১৯০৮ সালে।
১৯০৭ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় একটি কয়লা খনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ৩৬২ জন শ্রমিক, যাদের অধিকাংশই ছিলেন বাবাসম। পরের বছর ৫ জুলাই একটি গির্জায় স্মরণসভা আয়োজন করে তাদের সন্তানেরা। এটিই ছিল পিতাদের উদ্দেশে আয়োজিত প্রথম সম্মানসূচক অনুষ্ঠান।
বাবা দিবস প্রচলনের নেপথ্যে সনোরা স্মার্ট ডডের অবদান স্মরণযোগ্য।
১৯০৯ সালে ওয়াশিংটনের এক গির্জায় মা দিবসের আয়োজন দেখে ডড প্রশ্ন তোলেন—‘বাবাদের জন্য কোনো দিন নেই কেন?’ নিজের বাবার প্রতি শ্রদ্ধা থেকে তিনি দিবসটি চালুর জন্য উদ্যোগ নেন। তার প্রচেষ্টাতেই ১৯১০ সালের ১৯ জুন প্রথমবারের মতো পালিত হয় বাবা দিবস।
বিভিন্ন দেশে দিনটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পালিত হয়।
যেমন—বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের অনেক দেশে জুন মাসের তৃতীয় রোববার দিনটি উদযাপন করা হয়। দক্ষিণ আমেরিকায় ১৯ মার্চ, আবার অস্ট্রেলিয়া ও ফিজিতে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম রোববার পালিত হয় এই দিবস।
অবশ্য দিন বা আয়োজন যাই হোক, বাবাদের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা সর্বত্রই এক ও অটুট। দিবসটি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি উপলক্ষমাত্র।
একুশে সংবাদ/ আ.ট/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

