তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং জাতীয় সংসদের আসনের সীমানা নতুন করে নির্ধারণ বিষয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
বুধবার (২ জুলাই) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান দ্বিতীয় পর্যায়ের অষ্টম দিনের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আলী রীয়াজ জানান, আলোচনায় তিনটি বিষয় ছিল—নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমার অধিকার। এর মধ্যে প্রথম দুটি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি বলেন, “নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐকমত্য গড়ে উঠেছে, তা বড় অর্জন। কমিশন থেকে যে সুপারিশ এসেছে, তা বাস্তবায়নের জন্য সংবিধানের ১১৯(১)(ঘ) অনুচ্ছেদে সংশোধনী এনে নতুন কমিটি গঠনের আইন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।”
এই কমিটির কাঠামো ও কাজের পরিধি নির্ধারণে নতুন করে আইন করার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, “পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। বিদ্যমান কমিটির পরিবর্তে রাজনৈতিক ঐকমত্যের প্রতিফলন ঘটবে এমন একটি কমিটি গঠনের দাবি উঠেছে।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনরায় চালুর বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সব রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছে। সরকার কাঠামো, মেয়াদ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।”
তিনি জানান, মেয়াদ নিয়ে দু’টি প্রস্তাব এসেছে—সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ৯০ দিনের এবং নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব ১২০ দিনের। প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়েও দলগুলো কাছাকাছি অবস্থানে এসেছে বলে জানান তিনি।
আলী রীয়াজ আশা প্রকাশ করে বলেন, “যদি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকে, তবে জুলাই মাসের মধ্যেই ‘জুলাই সনদ’ নামে একটি ঐকমত্যের ঘোষণা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে।”
একুশে সংবাদ/জা.নি/এ.জে