মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স (ভাতা) যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধার দাবিতে গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। তাদের এই কর্মবিরতির ফলে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
এই পরিস্থিতি সমাধানে আন্দোলনরত কর্মচারীদের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। তবে দুই ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি রুমে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠক শুরু হয়। তবে দীর্ঘ আলোচনা সত্ত্বেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে রানিং স্টাফদের প্রতিনিধি সাইদুর রহমান বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন।
বৈঠক শেষে সাইদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, "আমরা রেল সচিব ও মহাপরিচালকের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করেছি। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। বৈঠক চলাকালীনই আমি চলে এসেছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে আমরা আমাদের কর্মবিরতিতে অনড় রয়েছি।"
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
এর আগে, ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে যাত্রীদের জিম্মি করে আন্দোলন করার বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
আর রেল কর্মচারীদের আর কোনো দাবি পূরণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, রেলের কর্মচারীদের যে যৌক্তিক দাবি, তা যতটুকু সম্ভব পূরণ করা হয়েছে। এরপরও তারা আন্দোলন করছে কেন? মানবিক কারণে যতটুকু করা দরকার করেছি।
তিনি বলেন, ওভারটাইম ইস্যুর সমাধান করা হয়েছে। এর বাইরের যেসব দাবি তা পূরণ করা সম্ভব নয়। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করতে হবে।
অন্যদিকে আন্দোলনকারী কর্মচারী ও শ্রমিক নেতারা বলছেন, তাদের দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত কর্মসূচি থেকে পিছু হটবেন না তারা।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এনএস