জুলাই-আগস্টে যে গণহত্যা সংঘটিত হয় সারাদেশে তার বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বেছে নেয় সরকার। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে একে একে অভিযোগ জমা পড়ে ট্রাইব্যুনালে।
তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম নিয়োগ হলেও বাকি ছিল বিচারক নিয়োগ, গত বৃহস্পতিবার আইন উপদেষ্টা জানান, এ সপ্তাহেই বিচারক নিয়োগ হবে ট্রাইব্যুনালে। বিচার শুরু হবে এক মাসের মাসেই।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আমরা এখানে বিচার করার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরা আশা করছি ফুলস্কেলে মাস খানেকের মধ্যে বিচার শুরু হয়ে যাবে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বন্ধের দিনও তদন্ত সংস্থার কাজ চলে পুরোদমে। চিফ প্রসিকিউটর জানান, বিচারক নিয়োগ হলেই শুরু হবে প্রাথমিক কাজ। এ সপ্তাহেই শেখ হাসিনাসহ পলাতক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চাওয়া হবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, বিচারক নিয়োগ হওয়া মাত্রই ট্রাইব্যুনাল ফাংশনাল হবে। এরপর আমরা নেসেসারি কিছু অর্ডারস চাইব। এ বিচার শুরুর আগে যেগুলো দরকার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আসামিদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করা, অনেক রকমের তথ্য উপাত্ত এগুলো সিজ করার জন্য অর্ডার লাগবে। তাদের দ্রুততার সঙ্গে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সাহায্য লাগবে। সে ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে আদেশ আসবে। ইমপ্লিম্যান্ট করার দায়িত্ব কিন্তু ট্রাইব্যুনালের হাতে না, এটা দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, মূলত যাদের নির্দেশে ও যাদের কারণে এই গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল তাদের বিষয়গুলো যারা টপ কমান্ডারস তাদেরকে আমরা প্রায়োরিটির তালিকায় শুরুতে নিয়ে এসেছি। আইন অনুযায়ী তাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সাহায্য চাওয়া হবে। কোনো অপরাধী বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে থাকলে ইন্টারপোলের সিস্টেমের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে বাংলাদেশ ইন্টারপোলে রেড নোটিশ পাঠাতে পারে। আর এর কল্যাণে আমরা অনেককেই দেশে ফেরত আনতে পারব।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

