ভারত থেকে চোরাই পথে আনা দেড় কোটি টাকার মোবাইল দেড় কোটি টাকা। এর সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জব্দকৃত মোবাইলের সংখ্যা ৮০৮টি।
রোববার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ভারত থেকে অবৈধপথে আনা মোবাইল ফোন কেনাবেচা চক্রের ওই চার সদস্যকে আজ গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে তাহের নামে একজন মোবাইলের দোকানে চাকরি করতেন। সেখান থেকেই এই বুদ্ধি তার মাথায় আসে।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, চক্রের মাধ্যমে তিন বছর আগে ছোট ছোট চালান আনতেন শুরু করেন তাহের। লাভবান হওয়ায় বড় চালান আনতে থাকেন। প্রতি চালানে ৫০০টি করে মোবাইল আনা হতো। গত দেড় মাসে পাঁচটি চালান এসেছে ঢাকায়।
মাদকের মতো একই পদ্ধতিতে মোবাইলগুলো সীমান্ত পার করে আনা হয় উল্লেখ করে ফিরোজ কবীর জানান, কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকতো মোবাইলগুলো। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো।
চোরাই পথে মোবাইল ফোন এলে সরকার রাজস্ব পায় না উল্লেখ করে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, রাজস্ব ফাঁকি দেয়া কম দামে গ্রাহকের কাছে মোবাইলগুলো বিক্রি করা হতো। এতে সাড়াও মিলতো বেশ।
দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মোবাইলই চোরাইভাবে আসছে জানিয়ে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, এগুলো বন্ধে বিজিবিসহ আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। চোরাই পথে আসা মোবাইলগুলো যারা কিনছেন, সেই দোকান মালিকদেরও শনাক্তে কাজ চলছে।
যারা পাশের দেশ থেকে মোবাইল আনার কাজ করছে, এমনিক ডিলার হিসেবে কাজ করছে প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :