বর্তমানে সরকার চাকরিতে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭ টি শূন্য পদ আছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, গত ৫ বছরে সরকার ৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৭ জনকে চাকরি দিয়েছে। বর্তমানে ১৯ লাখ ১৫১ জন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ সরকারি চাকরিতে কর্মরত আছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে বাংলাদেশের সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত সংলাপে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার মাধ্যমে গত ১৫ বছরে ৪২ হাজার ৯ শত ৩১ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ননক্যাডার নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৬৯ হাজার ২৩৯ জন।
তিনি বলেন, বিসিএসে ১০ শতাংশ নারী কোটা বাতিলের পরেও নারীদের নিয়োগ পাওয়ার হার কমেনি। প্রতিটি বিসিএসে গড়ে ২৫ থেকে ২৯ শতাংশ পর্যন্ত নারী কর্মকর্তা রয়েছে। তাই নারীরা সরকারি চাকরিতে কম নিয়োগ পাচ্ছে গণমাধ্যমের-এমন খবর সঠিক নয়।
তিনি আরও বলেন, ৫৮ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ১১ জন নারী সচিব, জেলা প্রশাসক রয়েছেন ৭ জন ও ইউএনও ১৪১ জন আর এসিল্যান্ড ১৮১ জন নারী কর্মরত আছেন।
মন্ত্রী জানান, ৩৫তম বিসিএসে নারীর সংখ্যা ২৭ দশমিক ৯৫, ৪০তম বিসিএসে ২৬ দশমিক ০৩, ৪১তম বিসিএসে ২৬ দশমিক ৭১জন নারী সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে। এছাড়া ২৯ শতাংশ নারী সব ধরনের সরকারি চাকরিতে রয়েছে।
পদোন্নতি নীতিমালা
জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, মেধাবী কাজের প্রতি আগ্রহী এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন কর্মকর্তাদেরই পদোন্নতি দেয়া হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় খুবই সতর্ক। এছাড়া, জেমস সফটওয়্যার অনুযায়ী তাদের কাজের মূল্যায়ন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, গত ৫ বছরে ১৭৮ জন কর্মকর্তার বিভিন্ন অনিয়মের (গ্রেড ১ থেকে গ্রেড ৯ পর্যন্ত) জন্য তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে তদন্ত করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে তাদের দোষ প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এমনকি ২২ জনকে গুরুদণ্ড, ৬৯ জনকে লঘুদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর অব্যাহতি পেয়েছে ৭৭ জন।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা