AB Bank
ঢাকা বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাংলাদেশে বিক্রি হওয়া সেরেলাক নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৩:২৬ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪
বাংলাদেশে বিক্রি হওয়া সেরেলাক নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলাদেশে শিশুখাদ্য হিসেবে বেশ চাহিদা রয়েছে সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান নেসলের সেরেলাকের। সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক বেসরকারি সংগঠন পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণায় সেরেলাক নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।  

পাবলিক আইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, সুইজারল্যান্ডে নেসলে তাদের পণ্য সেরেলাকে বাড়তি কোনো চিনি ব্যবহার না করলেও দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশ ও দরিদ্র দেশগুলোতে তারা সেরেলাকে চিনি ব্যবহার করছে। আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো, শিশুদের জন্য নেসলের ব্র্যান্ড নিডোর যেসব পণ্য আছে তার সবগুলোতেই বাড়তি চিনি আছে।

নেসলে সুইজারল্যান্ডে বিস্কুট স্বাদের সেরেলাকে কোনো প্রকার চিনির ব্যবহার ছাড়াই বিক্রি করছে। কিন্তু ঠিক একই পণ্যতে চিনি সংযুক্ত করে সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল কিংবা দরিদ্র দেশগুলোতে বিক্রি করছে। সেনেগাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় এই স্বাদের সেরেলাকের প্রতি প্যাকে ৬ গ্রাম চিনি থাকে।

পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, বাংলাদেশের বাজারে নেসলের ৯টি পণ্য চালু আছে, যার প্রতিটিতেই বাড়তি চিনি আছে। গড়ে এসব পণ্য থেকে একটি শিশুকে সাধারণভাবে একবার যে পরিমাণ খাবার খাওয়ানো হয় তাতে বাড়তি চিনির পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৩ গ্রাম।

বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বিক্রি হওয়া সেরেলাকেও ব্যবহার করা হয় চিনি। এ ব্যাপারে দেশটির ইন্ডিয়া টুডে, হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়া ডটকমের মতো গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ভারতের বাজারে নেসলের ১৫টি পণ্য চালু আছে, যার প্রতিটিতেই বাড়তি চিনি আছে। গড়ে এসব পণ্যে বাড়তি চিনির পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৭ গ্রাম।

বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিপাইন, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ব্রাজিল, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতেও নেসলের শিশুখাদ্য বাড়তি চিনির প্রমাণ মিলেছে। বিপরীতে, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির মতো ইউরোপীয় দেশগুলোতে এসব পণ্যে বাড়তি চিনির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উইটওয়াটারসরান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্যের অধ্যাপক ও শিশু বিশেষজ্ঞ কারেন হফম্যান জানান, শিশুর খাবারে চিনি যোগ করার কোনো বৈধ কারণ নেই। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ রয়েছে, রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা অমান্য করে নেসলে গরিব দেশগুলোতে শিশুদের পণ্যে চিনি মেশায়। শিশুদের দুধ ও সিরিয়ালে মেশানো এসব চিনি স্থূলতা এবং বেশ কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ।

 

একুশে সংবাদ/হ.ক.প্র/জাহা 

Link copied!