রাজধানীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। গুলশান, ধানমন্ডি, মিরপুর ও উত্তরার প্রায় অর্ধশত রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হয়। রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব খাবারের দোকানে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় কয়েকটি রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক, কর্মীসহ অন্তত ২২ জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে এসব রেস্টুরেন্ট-ভবনে জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে কি না, তা দেখতেই অভিযান চালানো হয়।
ধানমন্ডি এলাকার ১৯ রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি না থাকা, সিঁড়ি আটকে রান্নাঘর বসানো ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় এসব খাবারের দোকানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, অভিযান চালিয়ে কয়েকটি খাবারের দোকানের ব্যবস্থাপকসহ ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কয়েকজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর গুলশান এলাকায় প্রায় ১০টি খাবারের দোকানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে কাউকে আটক করা হয়নি। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা দেখার চেষ্টা করেছি, খাবারের দোকান থাকা ভবনের জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি রয়েছে কি না, সিঁড়িতে কোনো কিছু রাখা হয়েছে কি না, সেটা দেখছি। দু-একটি ছাড়া সবকটির পরিবেশ ছিল সুন্দর। তাদের ব্যবস্থাপনা দেখে আমরা সন্তুষ্ট।
এদিকে উত্তরা এলাকার অন্তত ২০টি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করার কথা জানিয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
এর আগে, বেইলি রোডে গত বৃহস্পতিবার রাতে আগুনের ঘটনায় ৪৬ জন মারা গেছেন। গ্রিন কোজি কটেজ নামের সাততলা ওই ভবনের একটি তলা ছাড়া বাকি সবকটি তলায় রেস্টুরেন্ট ছিল। ওই ভবনে জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি না থাকায় আগুন লাগার পর কেউ বের হতে পারেননি।
একুশে সংবাদ/সা.আ