AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাংলাদেশের পান করা ৪৯ শতাংশ পানিতে ক্যানসারের জীবাণু : গবেষণা


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
১০:৪০ পিএম, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪
বাংলাদেশের পান করা ৪৯ শতাংশ পানিতে ক্যানসারের জীবাণু : গবেষণা

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নলকূপের পানি দূষিত হয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ক্রমশ তাপমাত্রা বাড়ার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, অপ্রত্যাশিত বন্যা ও তীব্র বৈরী আবহাওয়ায় দেশের সুপেয় পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। এতে বেড়ে যাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিজ্ঞানবিষয়ক পিএলওএস ওয়ান সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে এই তথ্য জানানো হয়েছে। নিবন্ধটি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে দ্য গার্ডিয়ান।

গবেষণা নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাংলাদেশের অনেকেই ইতোমধ্যে বিষাক্ত আর্সেনিকের কারণে ত্বক, মূত্রাশয় ও ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।

গবেষণা নিবন্ধের প্রধান গবেষক নরউইচ ইউনিভার্সিটির ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. সেথ ফ্রিসবি। তিনি বলেন, সুপেয় পানিতে আর্সেনিক বিষের মাত্রা বাড়াই হচ্ছে—মূল সমস্যা। এটা কোনো তাত্ত্বিক অনুশীলন নয়।

পানিতে আর্সেনিক বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিয়ে ড. ফ্রিসবি বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে লবণাক্ততা বাড়ছে। এতে লোকালয়ের পানিতেও দ্রুত আর্সেনিকের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।  

ফ্রিসবি আরও বলেন, ‘আমার বর্তমান হিসাবে বাংলাদেশের প্রায় ৭৮ মিলিয়ন বা ৭.৮ কোটি মানুষ আর্সেনিকের সংস্পর্শে এসেছে। আর কমিয়ে হিসাব করলেও বাংলাদেশের প্রায় ৯ লাখ মানুষ ফুসফুস ও মূত্রাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

নিবন্ধে আরও বলা হয়, ক্রমাগত আর্সেনিক গ্রহণের ফলে শরীরের ভেতরে তা জমা হতে থাকে। হাতের তালু এবং পায়ের পাতায় ফুসকুঁড়ির মতো ত্বকের সমস্যা দেখা দেওয়ার মাধ্যমে—মানুষ এর উপস্থিতি টের পায়। একই প্রক্রিয়া শরীরের ভেতরেও ঘটতে থাকে। ফুসফুসসহ শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে আর্সেনিকের বিষ জমা হয়। এর ফলে ক্যান্সারের সূত্রপাত হয়।

গবেষণার এই ফলাফল জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা। তাই ভূগর্ভস্থ পানির দূষণ রোধে পানি পরিশোধন প্রযুক্তি, অবকাঠামোসহ সম্ভাব্য সমাধানমূলক ব্যবস্থা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে পানিতে আর্সেনিক দূষণের সূত্রপাত হয় ১৯৭০-এর দশকে। ওই সময় দূষিত ভূগর্ভস্থ পানির জন্য শিশুমৃত্যুর হারে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। গৃহস্থালি কাজ, ফসলের সেচ এবং মাছ চাষে গভীর নলকূপের পরিষ্কার পানি সরবরাহ করতে তখন জাতিসংঘের বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা এবং এনজিওর অর্থায়নে ব্যাপক কর্মসূচি চালানো হয়।   

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!