প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার আদালতে রিমান্ড আবেদন উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী শুনানিতে অংশ নেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন এবং রিমান্ড বাতিলের দাবি জানান। উভয় পক্ষের যুক্তি শুনে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
একই মামলায় রিমান্ডে থাকা আরেক সাবেক সিইসি নূরুল হুদার বিরুদ্ধে আরও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। আগামীকাল (২৭ জুন) তাকে ফের আদালতে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে মামলা করেছে বিএনপি। ২২ জুন সকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অন্তর্ভুক্ত আছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
মামলার পর ২৫ জুন এতে নতুন করে সংযোজন করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর ‘গায়েবি মামলা’, অপহরণ, গুম, খুন ও নির্যাতনের মাধ্যমে ভয়ভীতি ছড়িয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হয়। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সরকারি দায়িত্ব পালনের নামে ভোটে প্রভাব বিস্তার, ভোটারবিহীন নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করা—সবকিছুই আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে