সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) ২৪ জনকে আসামি করে দায়ের করা বিএনপির মামলায় নতুন করে আরও তিনটি অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগগুলো হলো—রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাত।
বুধবার (২৫ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার দণ্ডবিধির ১২০ (ক), ৪২০ এবং ৪০৬ ধারায় অভিযোগগুলো মামলায় সংযুক্ত করার আবেদন জানান। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান আবেদনটি গ্রহণ করেন।
বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
এর আগে, ২২ জুন বিএনপির পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করা হয়। সেখানে অভিযোগ তোলা হয়—আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে উল্টো ‘ভয়-ভীতি’ ও ‘নির্যাতনের’ মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—২০১৪ সালের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা এবং ২০২৪ সালের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। এছাড়া পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে দায়িত্ব পালনকারী কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তা—হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন—তাদেরও আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে দাবি করা হয়েছে, তিনটি নির্বাচনেই বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘গায়েবি মামলা’, ‘গুম’, ‘অপহরণ’ এবং ‘নির্যাতনের’ মাধ্যমে তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সেইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা বজায় না রেখে সরাসরি ভোটে প্রভাব বিস্তার করে জনগণের ভোটাধিকার খর্ব করা হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোর ভোটার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সৎ প্রিজাইডিং অফিসার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। ব্যালট পেপারে দেওয়া সিল ও স্বাক্ষর যাচাই করলে প্রকৃত ভোটদাতাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এবং তদন্তে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ চিত্র উদঘাটন হবে।
একুশে সংবাদ/ আ.ট/এ.জে