গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত রাজনৈতিক অভ্যুত্থান ও এর পরবর্তী সময়ে বিচারিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (২৫ মে) এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে শেখ হাসিনাকে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে আগামী ৭ দিনের মধ্যে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করায় আদালতের আদেশ প্রচারের জন্য গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। এতে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও হাজিরার নির্দেশ উল্লেখ থাকবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, ভারত থেকে দেওয়া শেখ হাসিনার একাধিক বক্তব্য বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে এবং বিচারকার্য বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে ছিল।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা একটি বক্তব্যে বলেন, “২২৭টি মামলা হয়েছে, ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি।” এই বক্তব্যের অডিও রেকর্ডিং পাওয়া গেছে এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণে তার সত্যতা মিলেছে।
এর আগে প্রসিকিউশন টিম আদালতকে জানায়, বক্তব্যটির রেকর্ডিং আলামত হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং তা বিশ্লেষণে ফরেনসিক রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল।
আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানির তারিখ পরে জানানো হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে ঢাকায় সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে