নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগপন্থী নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষ জামিন ও রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ জামিন আবেদন খারিজ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে সুমাইয়াকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় রাজধানীর ভাটারা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার পটভূমিতে জানা যায়, রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে গোপন বৈঠক ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছিল বলে অভিযোগ উঠে। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের অন্তত ২২ জন নেতাকর্মী অংশ নেন বলে জানায় পুলিশ। ঘটনার পরদিন ভাটারা থানায় মামলাটি রুজু করা হয়, যার তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
অন্যদিকে সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৭ জুলাই অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সাদিককে রাজধানীর উত্তরা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে বলে জানায় আইএসপিআর। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে প্রচলিত সামরিক বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় চলমান।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে