ভেনেজুয়েলার সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগে জড়িত আরও ছয়টি জাহাজকে নতুনভাবে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর তিন ভাইপোকেও নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত করা হয়েছে বলে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের পর থেকেই ওয়াশিংটন–কারাকাস উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের ধারাবাহিক পদক্ষেপ এবং ভেনেজুয়েলার উপকূলসংলগ্ন এলাকায় প্রথমবারের মতো একটি বড় তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ— পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ট্যাংকার জব্দের পরদিন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, আটককৃত জাহাজটিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বন্দরে নেওয়া হবে। তার দাবি— নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে তেল বহন করছিল জাহাজটি। তিনি আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাহাজের তেল বাজেয়াপ্ত করার পরিকল্পনা আছে যুক্তরাষ্ট্রের।
এর মধ্যেই ওয়াশিংটন ঘোষণা দেয় ভেনেজুয়েলা–সম্পৃক্ত আরও ছয় জাহাজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা। রয়টার্স আগে জানিয়েছিল— মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ৩০টির বেশি ট্যাংকার অতিরিক্ত শাস্তির মুখে পড়তে পারে।
মাদুরো সরকারের ওপর চাপ জোরদার করতেই নতুন এই পদক্ষেপ বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো উল্লেখ করেছে।
অন্যদিকে, তেলবাহী ট্যাংকার জব্দের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে তীব্র ভাষায় অভিযুক্ত করেছে কারাকাস। তারা বলছে, এ পদক্ষেপ ‘রাষ্ট্রীয় চুরি’ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জলদস্যুতার শামিল। ভেনেজুয়েলার অভিযোগ— ওয়াশিংটনের এসব কর্মসূচি মূলত দেশটির জ্বালানি সম্পদ দখলের পরিকল্পনার ধারাবাহিক অংশ।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

