বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে কতদিন থাকবেন—এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার তার নিজস্ব বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, যেসব কঠিন পরিস্থিতিতে হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, সেটিই এখন তার ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তের মূল চালিকাশক্তি।
হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির প্রধান নির্বাহী রাহুল কানওয়ালের প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর এ মন্তব্য করেন। এনডিটিভির রবিবারের (৬ ডিসেম্বর) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গত বছরের আগস্টে ব্যাপক সহিংসতা ও দমন-পীড়নের অভিযোগের মধ্যে হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। সেই বিক্ষোভে বহু মানুষের মৃত্যু এবং হাজারো আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তাকে অনুপস্থিতিতে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে’ মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন—যা গত বছরের ছাত্র আন্দোলন দমনের অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত।
এই প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন,“তিনি যে পরিস্থিতিতে এখানে আসতে বাধ্য হয়েছেন, সেটিই এখানে মূল বিষয়। পরবর্তী সিদ্ধান্ত তাকে নিজেকেই নিতে হবে।”
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে জয়শঙ্কর জানান, ভারত তার প্রতিবেশী দেশে একটি “বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া” দেখতে আগ্রহী। তিনি বলেন,“বাংলাদেশের বর্তমান নেতৃত্ব অতীতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যদি নির্বাচনই সমস্যা হয়ে থাকে, তবে প্রয়োজন হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা।”
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে দিল্লি আশাবাদী। তার ভাষায়, “আমরা বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আমরা চাই, সেখানকার জনগণের ইচ্ছা স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিফলিত হোক। দুই দেশের সম্পর্ক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর দাঁড়ালেই সবচেয়ে শক্তিশালী রূপ পায়।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

