পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে আবারও তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষই গোলাগুলির বিষয়টি স্বীকার করেছে, যদিও কোনো হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
আফগান তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানি বাহিনী প্রথমে কান্দাহারের বোলদাক এলাকায় হামলা চালায়। অপরদিকে পাকিস্তান দাবি করছে, আফগান বাহিনী কোনো রকম উসকানি ছাড়াই চামান সীমান্তে গুলি ছুড়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র মোশাররফ জাইদি বলেছেন, “আমাদের বাহিনী সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় আছে। দেশের সীমানা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এর মাত্র দুই দিন আগে সৌদি আরবের জেদ্দায় শান্তি আলোচনায় বসেছিল ইসলামাবাদ ও কাবুল। বৈঠকে বড় কোনো অগ্রগতি না এলেও দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তার মধ্যেই রাতভর নতুন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
গত অক্টোবরেই দুই দেশের মধ্যে প্রথম বড় ধরনের সশস্ত্র সংঘাত ঘটে, যা কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় থামে। কিছু সময় পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও সাম্প্রতিক বৈঠকের পরপরই ফের উত্তেজনা দেখা দিল।
এদিকে পাকিস্তানে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে একাধিক আত্মঘাতী ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ইসলামাবাদের অভিযোগ, এসব হামলার পেছনে আফগান নাগরিকদের সম্পৃক্ততা রয়েছে এবং তারা আফগানিস্তানের মদদ পাচ্ছে। তবে কাবুল এসব অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।
২০২১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠেছে। গত অক্টোবরের সংঘাতে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে, আর এবার নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

