মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের দীর্ঘদিনের সংঘাতপূর্ণ সম্পর্ক তিনি দ্রুত সমাধান করতে পারবেন। একইসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে “মহান মানুষ” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৬ অক্টোবর) কুয়ালালামপুরে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আয়োজিত থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, “পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনা উদ্বেগজনক, তবে আমি উভয় পক্ষকে শান্তিতে পৌঁছাতে সহায়তা করতে আত্মবিশ্বাসী। আমরা প্রায় প্রতি মাসে এমন একটি করে সংঘাত মীমাংসা করছি—এখন মাত্র একটি বাকি আছে, এবং আমি খুব দ্রুত এটি সমাধান করব। আমি উভয় নেতাকেই চিনি—তারা দুজনেই অসাধারণ ব্যক্তি।”
শান্তি প্রচেষ্টার অগ্রাধিকারের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “যদি আমি সময় নিয়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে পারি, সেটিই প্রকৃত অর্জন। যুদ্ধ শুরু করা সহজ, কিন্তু শেষ করাই আসল নেতৃত্বের পরিচয়।”
২০২১ সালে তালেবানদের কাবুল দখলের পর থেকে সীমান্তে বারবার সংঘর্ষ হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে উভয় দেশের সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যার ফলে ১১ অক্টোবর থেকে সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রয়েছে।
ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে, আফগান সীমান্তের ভেতর থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষ একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়, যা বর্তমানে কার্যকর রয়েছে এবং আলোচনাও চলছে।
কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় দফা আলোচনার সময় পাকিস্তান আফগান তালেবান সরকারের হাতে একটি বিস্তৃত সন্ত্রাসবিরোধী কর্মপরিকল্পনা হস্তান্তর করেছে।
অন্যদিকে, একই অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি সম্প্রসারিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করেন। দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতার কারণে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্রগুলো।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

