লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বন্ধুর স্ত্রীকে তুলে নিতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন তিন যুবক। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ সময় ওই নারীর স্বামী পালিয়ে যান।
আটকরা হলেন—উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদনগর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মাইনউদ্দিন (২১), মো. কামাল হোসেনের ছেলে মো. ফরহাদ (১৯) এবং রিপনের ছেলে ফারুক প্রকাশ সুকু (১৮)। তারা তিনজনই পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবু মিয়া সমাজের রফিক মিকারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আটক তিন যুবকের বন্ধু হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে তার স্ত্রীর পারিবারিক কলহ চলছিল। এ কারণে স্ত্রী কিছুদিন ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি আত্মীয় রফিক মিকারের বাড়িতে বেড়াতে যান। খবর পেয়ে রাতে স্ত্রীকে জোরপূর্বক বাড়িতে নিতে বন্ধুদের নিয়ে সেখানে ছুটে আসেন হেলাল উদ্দিন।
রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে হেলাল ও তার তিন বন্ধু জোর করে স্ত্রীকে ঘর থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালান। এ সময় গৃহবধূ চিৎকার শুরু করলে মুহূর্তেই আশপাশে ‘ডাকাত পড়েছে’ বলে চিৎকার ছড়িয়ে পড়ে। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে এলাকাবাসী ছুটে আসে। টের পেয়ে হেলাল দৌড়ে পালিয়ে যান, তবে তার তিন বন্ধু স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন।
আটকদের একজন মাইনউদ্দিন বলেন, “আমরা তিনজনই চরলরেন্স ইউনিয়নের শহীদনগর এলাকার পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। হেলাল আমাদের বন্ধু। সে তার স্ত্রীকে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরিয়ে আনতে আমাদের নিয়ে আসে। বন্ধুর স্ত্রীকে যেন একটু বুঝিয়ে দেই, এজন্যই গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি চিৎকার দিলে সবাই আমাদের ডাকাত ভেবে ধরে ফেলে ও মারধর করে।”
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

