জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এক বৈঠকে ভারতের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, গত বছরের গণঅভ্যুত্থান ভারত ইতিবাচকভাবে নেয়নি, আর সেটিই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এনডিটিভি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে সাক্ষাতে এ মন্তব্য করেন ড. ইউনূস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি সার্জিও গোরকে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকে ভারত ভালো চোখে দেখেনি। এর ফলে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে। গণঅভ্যুত্থানকে তারা ইসলামপন্থি আন্দোলন হিসেবে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়াও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়িয়েছে। তার ভাষায়, “ভারত এমন একজনকে আশ্রয় দিয়েছে, যিনি সংকট তৈরি করেছেন। এতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।”
ড. ইউনূস বলেন, ভারতের কারণেই দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক জোট সার্ক কার্যত অচল হয়ে আছে। তিনি জানান, “সার্ক কাজ করছে না, কারণ একটি দেশের রাজনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে এটি খাপ খায় না।” এ সময় তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে আসিয়ানে যোগদানের আগ্রহও প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ সার্ক সম্মেলন হয় ২০১৪ সালে। ২০১৬ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় সম্মেলন উরি হামলার পর ভারত বর্জন করলে জোটটি কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে। ভারত এখন সার্কের তুলনায় বিমসটেককে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সর্বশেষ বিমসটেক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের বৈঠক হয়েছিল।
একুশে সংবাদ/এ.জে