গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা অভিযানে প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩৮ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ৬২৫ জন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ২৬৮ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৩ জন।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, “আহত ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।”
গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬ হাজার ৭১০ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ২৩ হাজার ৫৮৪ জন।
এর আগে ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চাপে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল। কিন্তু সেই বিরতি দুই মাসের মাথায় ভেঙে পুনরায় আক্রমণ শুরু করে আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী)।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা শাসনকারী সংগঠন হামাস ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়।
হামলার প্রতিক্রিয়ায় একই দিন থেকেই গাজায় ভয়াবহ সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। প্রায় ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই অভিযানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা।
হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত আছেন বলে মনে করছে ইসরায়েল। তাদের উদ্ধারে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
একুশে সংবাদ////র.ন