২৫ বছরের কার্যক্রম শেষে পাকিস্তানে অফিস বন্ধ করে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। বৈশ্বিকভাবে কর্মী ছাঁটাই ও কাঠামোগত রূপান্তরের অংশ হিসেবে দেশটিতে কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।—সূত্র: দ্য হিন্দু।
গত শুক্রবার বিষয়টি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের মাধ্যমে জানানো হয়। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা বলেন, মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের প্রযুক্তি খাত ও সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ক্লাউড-ভিত্তিক ও অংশীদার-নির্ভর ব্যবসায়িক কাঠামোতে রূপান্তরের অংশ হিসেবেই পাকিস্তানে সরাসরি কার্যক্রম বন্ধ করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের পর বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় পরিসরে—প্রায় ৯ হাজার ১০০ জন কর্মী ছাঁটাইয়ের (যা মোট কর্মীর ৪ শতাংশ) পর পাকিস্তানেও এমন পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মাইক্রোসফট পাকিস্তানের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজার জাওয়াদ রেহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সরকার ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে একটি ‘কেপিআই-নির্ভর’ পরিকল্পনা নিয়ে বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কার্যকর সংযোগ স্থাপনের আহ্বান জানান।
তিনি লিখেছেন, “মাইক্রোসফটসহ অনেক আন্তর্জাতিক টেক জায়ান্ট এখন পাকিস্তানে ব্যবসার পরিবেশকে অস্থিতিশীল মনে করছে।”
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিও বিষয়টি নিয়ে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট দিয়ে উদ্বেগ জানান। তিনি বলেন, “এটি আমাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য একটি অশনি সংকেত।”
তিনি আরও দাবি করেন, একসময় মাইক্রোসফট পাকিস্তানে ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা ভাবলেও পরবর্তীতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালের শেষ দিকে ভিয়েতনামে কার্যক্রম স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে