গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর টানা হামলায় আরও ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। সহিংসতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলের একমাত্র কার্যকর হাসপাতাল ‘আল-আওদা’ এখন সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) গাজার কেন্দ্রস্থলে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের একটি নতুন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে। এতে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সারায়া জংশনে ইসরাইলি বিমান হামলায় বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর নির্দেশে ‘আল-আওদা’ হাসপাতাল খালি করা হয়েছে। তবে এখনও সেখানে প্রায় ৫০ জন রোগী ও কর্মী অবস্থান করছেন। রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হওয়ায় জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়ারও সুযোগ নেই।
এদিকে, পশ্চিম তীরে ২২টি নতুন অবৈধ বসতির অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন এবং দুই রাষ্ট্রভিত্তিক শান্তি প্রক্রিয়ার পথে বড় বাধা। জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইসরাইলের এই বসতি স্থাপন কার্যক্রম শান্তি উদ্যোগকে ভুল পথে ঠেলে দিচ্ছে।” সংস্থাটি অবিলম্বে বসতি নির্মাণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদিকে, গাজায় ইসরাইলি অভিযানের জবাবে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি ইসরাইলের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেছে। তবে ইসরাইল জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি মাঝ আকাশেই প্রতিহত করা হয়েছে এবং বিমানবন্দরের কার্যক্রমে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় দিন দিন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই সহিংসতা থামানোর দাবি জোরালো হচ্ছে।
একুশে সংবাদ / স.ট/এ.জে