অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) একদিনেই অন্তত ১৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ১০ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ। তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা ও তুরস্কের আনাদোলু বার্তা সংস্থা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ১৫২ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকা বহু মরদেহ এখনও উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
বিশেষভাবে বেদনাদায়ক এক হামলা হয়েছে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত আল-তাওবাহ ক্লিনিকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ক্লিনিকের ওপরের তলায় হামলায় রোগীরা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। নিহত ১৩ জনের মধ্যে একাধিক শিশু রয়েছে।
মার্চের মাঝামাঝি ফের হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যখন হামাসের সঙ্গে শান্তিচুক্তি ভেস্তে যায় সেনা প্রত্যাহার ইস্যুতে। এরপর থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৮৭৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন প্রায় ৮ হাজার।
জাতিসংঘ বলছে, গাজায় ৯০ শতাংশ মানুষ এখন বাস্তুচ্যুত। অবকাঠামোর বড় একটি অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। মানবিক বিপর্যয় চরমে।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একইসঙ্গে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হয়েছে।
সাম্প্রতিক এই গণহত্যার ধারাকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো স্পষ্টতই ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করছে। তবু আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে অব্যাহত রয়েছে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের নিষ্ঠুরতা।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে