জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ফের উত্তেজনার দিকে ধাবিত হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিকবার গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটার পাশাপাশি দুদেশই সেনা মোতায়েন ও পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে, বৃহস্পতিবার (১ মে) পাকিস্তান সেনাবাহিনী কাশ্মীর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পূর্ণমাত্রার একটি সামরিক মহড়া পরিচালনা করে। পাকিস্তানের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মহড়ায় আধুনিক অস্ত্র ও সামরিক কৌশল প্রদর্শন করা হয় এবং শত্রু আগ্রাসনের জবাব দিতে সেনাদের প্রস্তুতি যাচাই করা হয়।
এদিকে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের তিন বাহিনীকে যেকোনো প্রয়োজনে স্বাধীনভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগেই নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতীয় পোস্টে পাল্টা হামলার দাবি করেছে পাকিস্তানি বাহিনী।
পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তোলে। জবাবে ভারত ১৯৬০ সালের ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানও সিমলা চুক্তি স্থগিত করে ও ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করে। বন্ধ করে দেয় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যও।
এছাড়া, পানি ইস্যুতে কড়া অবস্থান নিয়েছে ইসলামাবাদ। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দেশ নিজের জলাধিকার রক্ষায় পিছপা হবে না। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "সিন্ধু দিয়ে পানি না বইলে, রক্ত বইবে।"
অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, যারা হামলার পেছনে রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ১৪০ কোটি ভারতীয়র সংকল্পই হবে তাদের পরিণতির কারণ।
বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
একুশে সংবাদ/আ.ট./এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :